নিজেস্ব প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে আজ বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের উদ্যোগে **বৈসু উৎসব** উপলক্ষে বর্ণিল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শোভাযাত্রাটি শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল থেকে শুরু হয়ে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ ঐতিহ্যবাহী সাজ পোশাকে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অংশ নেন।
শোভাযাত্রার আগে টাউন হল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ত্রিপুরার ‘গড়িয়া’ দলের নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। পরে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। তিনি পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
বৈসু উপলক্ষে বক্তব্যের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, বৈসু উৎসব আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সম্প্রীতির প্রতীক।
এই উৎসব আমাদের ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। আমি আশা করি, বৈসাবি উৎসবের আনন্দে সবাই একত্রিত হয়ে আমাদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণ করবে।
আমাদের সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈসাবি উৎসবের মাধ্যমে ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি কমল ত্রিপুরা বলেন, “বৈসু র্যালির” মাধ্যমে আমরা সকলকে জানাতে চাই, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন একত্রে সুখে- শান্তিতে বসবাস করছি। এই সম্পর্ক যেন অটুট থাকে এবং এদেশের সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য সকল প্রতি আহবান করেন। তিনি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই র্যালিতে যারা অংশ নিয়েছে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জানান ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তিন দিনের বৈসু উৎসব, যেখানে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী **হারি বৈসু** উদযাপিত হবে।
এই উৎসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ, যা সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
Leave a Reply