আগামীকাল ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরই ভ্রমণে থাকা শিশুরা যেন ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে, সেজন্য প্রতি উপজেলায় একটি করে এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় প্রয়োজন অতিরিক্ত কেন্দ্রে (রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ইত্যাদি) টিকা দানের ব্যবস্থা করা হয়। দুই সপ্তাহে ৮ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন চলায় এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে না। গত বুধবার ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কার্যপরিকল্পনা সভায়’ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর (এনএনএস) ডা. এসএম মুস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, যেসব শিশু ভ্রমণে থাকবে, তাদের ৪ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আট দিন ক্যাম্পেইন চলার সময় নিকটবর্তী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র থেকে নিজ দায়িত্বে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সারা দেশে এক লাখ ২০ হাজার ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। করোনাকালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হবে। তবে নিজ নিজ এলাকার কেন্দ্রে আসা শিশুর অভিভাবকদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে আসতে হবে।
ডা. এসএম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সারা দেশে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু আছে ৩৪ লাখ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু আছে এক কোটি ৯৬ লাখ। সে হিসাব ধরে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে ৯০ শতাংশ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জার্মানিতে উৎপাদিত নীল রঙের ক্যাপসুল ইউনিসেফের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। লাল রঙের ক্যাপসুল সংগ্রহ করা হয়েছে দেশীয় কোম্পানি রেনেটা ও গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড থেকে। ক্যাম্পেইন সে দিন ছয় মাসের কম বয়সী শিশু, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু, চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ প্রাপ্ত শিশু ও অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
ক্যাম্পেইনের আগের দিনে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনসমূহের ওয়ার্ডে মাইকিং করা হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের পূর্ববর্তী শুক্রবারে জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদের ইমাম/খতিব ভিটামিন ‘এ’-এর প্রয়োজনীয়তা মুসল্লিগণকে অবহিত করবেন। অন্যান্য উপাসনালয়ের মাধ্যমেও ক্যাম্পেইনের বিষয়ে জানানো হবে। এছাড়া বাদপড়া শিশুদের মধ্যে দুর্গম এলাকায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় আরও জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষাই করে না, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
চেয়ারম্যান : অ্যাডভোকেট আফছার হোসেন
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা
প্রধান কার্যলয় :
জহির বিল্ডিং (২য় তলা) বেগম টেড্রার্স এর পার্শে,
মাটিরাঙ্গা বাজার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।